© RIDOY WAP |
BLACK HOLE মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা । এই ধারণা অনুযায়ী BLACK HOLE বা কৃষ্ণবিবর মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যার অতি ক্ষুদ্র আয়তনে এত বেশি ভর সন্নিবেশিত থাকে যে এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুকেই তার ভেতর থেকে বের হতে দেয় না । এই স্থানে কার্যরত বল মহাবিশ্বের অন্য সকল বলকে অতিক্রম করে । অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে তত্কালীন মহাকর্ষের ধারণার ভিত্তিতে কৃষ্ণ বিবরের অস্তিত্ব উত্থাপিত হয় ।
General Theory Of Relativity অনুসারে কৃষ্ণ বিবর মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান যেখান থেকে কোন কিছু এমনকি আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না । প্রতিটি গ্যালাক্সীর স্থানে স্থানে কম বেশি কৃষ্ণবিবরের অস্তিত্বের কথা জানা যায় ।সাধারণত বেশিরভাগ গ্যালাক্সীই তার মধ্যস্থ কৃষ্ণ গহ্বরকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান । থার্মোডায়নামিক্সের কৃষ্ণবস্তুর মত এর থেকে তরঙ্গ ফিরে আসতে পারে না
ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের প্রমাণ কোন স্থানের নক্ষত্রের গতি এবং দিক দেখে পাওয়া যায় । মহাকাশবিদগণ ১৬ বছর ধরে আশেপাশের নক্ষত্রমন্ডলীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ২০০৮ সালে প্রমাণ পেয়েছেন একটি ব্ল্যাক হোলের যার ভর সূর্য থেকে চার মিলিয়ন গুণ বেশি এবং এটি আমাদের আকাশ গঙ্গার মাঝে অবস্থিত ।
Stephen Hawking সম্প্রতি ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেছেন ," দিগন্তের ঘটনার অভাব অনুসরণে এটাই বোঝা যায় যে সেখানে কোন ব্ল্যাক হোল নেই । আলো অসীমে হারিয়ে যায় না , বিদ্যমান এমন ধারণার ভিত্তিতে এটা বলা যায় ।" হকিং এর সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে এ তথ্য পাওয়া যায় । তবে তিনি বলেছেন , ব্লাক হোলকে আপন শক্তিতে স্থিতিশীল চৌম্বকক্ষেত্র হিসেবে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় । যার অর্থ , ঠিক ব্ল্যাক হোল না থাকলেও অনুরূপ বিষয়ের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করছেন এই বিজ্ঞানী ।